ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মতি কাজী (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ। বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার দুপুরে মতি কাজীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সোতাশী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর এলাকাবাসী খুশিতে মিষ্টি বিতরণ করেছেন বলে জানা গেছে।
তিনি বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক, ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুইবারের সাবেক ইউপি সদস্য ও সোতাশি গ্রামের দাউদ কাজীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চলতি বছরের ২৪ মার্চ ফরিদপুর জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম মতি কাজীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। এ সময় মতি কাজীর ভাই ইসলাম কাজীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে ওই দিন রাতে মতি কাজীর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপি সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায়। হামলার সময় বিএনপি ও জামায়াতের দুই কর্মীকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়।
এ ঘটনার পরের দিন বিচারের দাবিতে সোতাশী গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ ভাটিয়াপাড়া-মাঝকান্দী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে গ্রামটির আব্দুর রহিম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় মতি কাজী। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন বলেন, মতি কাজী একাধিক মাদক মামলার আসামি। একই সঙ্গে হামলা, লুটপাট ও মারধরের মামলাও রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জিআর মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করা হয়েছে।
Comments
Post a Comment