হঠাৎ পাকিস্তানে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ, কী হতে চলেছে?

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝেই পাকিস্তানের করাচি বন্দরে নোঙর করেছে তুরস্কের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘টিসিজি বুইয়ুকাদা’। রোববার পাকিস্তান নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি তুরস্ক-পাকিস্তান সামুদ্রিক সহযোগিতার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। খবর ইন্ডিয়া ডট কমের। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, করাচি বন্দরে পৌঁছানোর পর যুদ্ধজাহাজটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে। কয়েকদিন সেখানে অবস্থানের সময় জাহাজের নাবিকরা পাকিস্তান নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে যৌথ প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতামূলক কার্যক্রমে অংশ নেবেন বলে জানানো হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্ক ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক অনেক মজবুত হয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো পাকিস্তানের সাবমেরিন আধুনিকীকরণে সহায়তা করছে। তুরস্ক থেকে পাকিস্তানে ড্রোনসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামও সরবরাহ করা হচ্ছে। নিয়মিত যৌথ সামরিক মহড়াও চালায় দুই দেশ। এর মধ্যে ‘আতাতুর্ক-১৩’ নামের একটি যৌথ বিশেষ বাহিনীর মহড়া বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে ‘টিসিজি বুইয়ুকাদা’র করাচি বন্দরে আগমন এমন এক সময়ে হলো, যখন ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক তীব্র উত্তেজনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পহেলগাম হামলার পর ভারত পাকিস্তানকে এর জন্য দায়ী করেছে। ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই প্রেক্ষাপটে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজের পাকিস্তানে আগমন ভারতের নজর কেড়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, তুরস্ক পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহ করছে। তবে তুরস্ক এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, তাদের সামরিক বিমানের পাকিস্তানে যাত্রাবিরতির বিষয়টিকে অস্ত্র সরবরাহ হিসেবে ব্যাখ্যা করা ভুল। পহেলগাম হামলার পর নিয়ন্ত্রণ রেখায় গোলাগুলির ঘটনা বেড়েছে। বাতিল হয়েছে একে অপরের নাগরিকদের ভিসা, বন্ধ হয়েছে আকাশপথ, স্থগিত হয়েছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। উভয় দেশই সামরিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য কয়েকটি মহড়া ও অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এর মধ্যেই তুরস্কের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক বন্ধুত্ব আরও প্রকাশ্যে এল, যা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

Comments