ইয়েমেনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরায়েলে নতুন উত্তেজনা

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান হামলার পাল্টাপাল্টি ঘটনার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। এবার ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ইয়েমেন ইসরায়েলে বড় ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোববার (১৫ জুন) ভোরের দিকে ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী দাবি করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, "ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে সমন্বয় করে ইসরায়েলের তেল আবিবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।" ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানান, "তেল আবিবের কেন্দ্রে দখলদার ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে নতুন সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে ইয়েমেনি বাহিনী।" তিনি আরও জানান, ইয়েমেনের বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের দখলকৃত ইয়াফা অঞ্চলে ‘ফিলিস্তিন-২’ নামের একাধিক হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে। ইয়াহিয়া সারি দৃঢ়ভাবে বলেন, রোববার ভোরে পরিচালিত অভিযান সফলভাবে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই হামলা ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ও ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সাম্প্রতিক হামলার সঙ্গে সমন্বয় করে পরিচালনা করা হয়েছে। ইয়েমেন ইহুদিবাদী ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠীর নৃশংস আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের নেতৃত্ব, জনগণ ও সেনাবাহিনীর সাহসী এবং অবিচল প্রতিরোধের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। তিনি আরও ঘোষণা করেন, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী শত্রুর সামরিক ঘাঁটি, কমান্ড সেন্টার এবং কৌশলগত স্থাপনায় ধারাবাহিকভাবে আঘাত হানছে। সারি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের অবসান ও অবরোধ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত গাজাবাসী এবং প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি ইয়েমেনের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতকে আরও জটিল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Comments